রিজওয়ানা শমশাদ মনে করেন ১৯৮০র সূচনালগ্নে ভারতীয় জনতা পার্টিসৃষ্ট উন্মাদনা আর পরে ১৯৯০তে লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী মুসলমানের অনুপ্রবেশ আসলে জাতীয় অর্থনীতির উপরে একটা খাঁড়ার ঘা বিশেষ যা ভারতের অভ্যন্তরীন সাম্যবাদ এবং সুরক্ষার বিপক্ষে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন। এই ঘটনার প্রত্যক্ষ সংযোগ ভারতের একাধিপত্য এবং সার্বিক চেতনার পরিপন্থী। অপরপক্ষে জনভিত্তিক এই অভিবাসনের প্রত্যক্ষ ফল হতে পারে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভারতের একটি রাজ্য থেকে পৃথক রাজ্যের দাবি করা। ১৯৯৫ সালে সেন্টার ফর স্টাডি অফ সোসাইটি অ্যান্ড সেকুলারিজ্মএর দ্বারা করা একটি পর্যবেক্ষণ অনুসারে, বিজেপি এবং শিবসেনার অভিযোগ শুধু অত্যুক্তি বা অতিশয়োক্তি নয়, চূড়ান্ত মিথ্যাচারও। ভয় আর অসুরক্ষার বোধে জন্ম নেয় হিন্দুত্বের' পরাকাষ্ঠা। অভিবাসীরা তখন তাদের রোজি-রুটির চক্করে শিখে নিচ্ছে সচ্ছ্বল বেঁচে থাকা। বিজেপি-শিবসেনা জোট দাবী করেছিল যে শুধু মুম্বইতে তিন লক্ষ অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতাসীন সময়ে তারা শনাক্ত করে ফেরত পাঠিয়েছিল মাত্র দশ হাজার অবৈধ কর্মচারিদের। ... ...
১. পাকিস্তানের জন্মমৃত্যুর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ জড়িত। পাকিস্তান শুধু একটা রাষ্ট্র নয়-একটা পন্থাও বটে। এই পাকিস্তানপন্থা মানুষের সম্প্রীতির জায়গাটি ভেঙে দিতে চেয়েছে-চেয়েছে সাম্প্রদায়িক ভেদনীতি চাগিয়ে তুলতে। উদ্দেশ্য বাঙালি নামক একটা বিকাশমান জাতির ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও রাজনীতিকে শেষ করে ফেলা। একটি নিরঙ্কুশ উপনিবেশ কায়েম করার লক্ষ্যে জাতি হিসাবে বাঙালিকে পঙ?গু করে দেওয়া। খুব কঠিন কথা। কিন্তু সরল সত্যি। তারা পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই এই পন্থাটিকে হাজির করে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভেতর দিয়ে। তারা ধর্মকেই রাষ্ট্র গঠনের ও জাতীয়তা নির্ধারণের একমাত্র নীতি হিসাবে গ্রহণ করে। এই নীতির মধ্যেই পাকিস্তানের জন্ম ১৯৪৭ সালে। মৃত্যু ১৯৭১ সালে। এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে পাকিস্তানের ভূতটির আছর দেখা দিচ্ছে। ... ...